ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে অপবিত্রতা দুই প্রকার। মানসিক এবং শারীরিক। কুফর থেকে ইসলামে প্রবেশের মাধ্যমে মানসিক অপবিত্রতা দূর হয়। একইভাবে শারীরিক অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ারও নির্ধারিত পদ্ধতি ইসলাম সুস্পষ্ট করে দিয়েছে। তবে ইসলাম শারীরিক অপবিত্রতাকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে।
২. যে ধরনের অপবিত্রতা থেকে গোসল ছাড়া পবিত্র হওয়ার উপায় নেই, ফকিহদের পরিভাষায় তাকে নাজাসাতে গালিজাহ বলে।
প্রশ্ন হলো, ফরজ গোসল কি দেরি করে করা যায় নাকি সঙ্গে সঙ্গেই করে নিতে হয়?
১. ফরজ গোসল যথাসম্ভব দ্রুত করে নেওয়া মুস্তাহাব বা ভালো, ওয়াজিব বা আবশ্যক নয়।
২. ফরজ গোসল এত দেরি করে করা উচিত নয় যে, পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়ে যায়। নামাজ কাজা করা নিঃসন্দেহে কবিরা গুনাহ। ফরজ গোসল করতে না পারার জন্য নামাজ কাজা করার অজুহাত শরিয়তে গ্রহণযোগ্য নয়।
৩. ফরজ গোসল দেরি করেও করা যায়। তবে এক্ষেত্রে সুন্নাত হলো, ভালো করে অজু করে নেওয়া। হজরত আয়শা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) এর গোসল ফরজ হলে তিনি যদি পরে গোসল করতে চাইতেন, কিংবা কিছু খেতে অথবা ঘুমাতে চাইতেন, তাহলে নামাজের অজুর মত অজু করে নিতেন। (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৩০৫)
অনেকে মনে করেন, গোসল ফরজ হলে দেরি করলে পাপ হবে বা সে অবস্থায় মাটির উপর হাঁটলে মাটি অভিশাপ দিবে। আলেমদের মতে এ সকল কথা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। গোসল ফরজ হলে তা যথাসম্ভব দ্রুত সেরে নেয়া উত্তম।