স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে থানা পুলিশ থানায় না থাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন অপরাধী চক্র। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঢাকাসহ পাশ্ববর্তী জেলাগুলোতে। অবাধে চালাচ্ছে তাদের অনৈতিক কার্যক্রম। পিছিয়ে নেই নারী পাচারকারীচক্ররাও। এমনই একটি চক্র সুমা শাহনাজ সিন্ডিকেট।
এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক দেহব্যবসা সহ নারীপাচারের সাথে যুক্ত। সূত্রে জানা যায় – ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় দেদারছে চলছে অনৈতিক দেহ ব্যবসা বা অসামাজিক কার্যকলাপ যা চালিয়ে যাচ্ছেন একটি নারী চক্র। এই টিমের অন্যতম সদস্য হলো জাকিয়া ওরফে সুমা, শাহনাজ, পাখি ও সালমা তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেলঘাট এলাকায় দুই তিনটি ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরী মেয়েদের জিম্মি করে চালাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ। বাটারফ্লাই হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী একটি স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুসন্ধান সেল জানতে পেরে তথ্য অনুসন্ধান সেলের সদস্যগণ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা কে অবগত করে বেশ কিছুদিন যাবত অত্র এলাকায় অনুসন্ধান করেন। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। চার নারী সদস্য টিমের জাকিয়া ওরফে সুমা ও শাহনাজের নেতৃত্বে কাগজের ঠোঙ্গা, চটপটির ব্যবসা নামে তারা চালিয়ে যাচ্ছে প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরী মেয়েদের জিম্মি করে অসামাজিক কার্যকলাপ যার নেতৃত্ব দিচ্ছে সুমা ও শাহনাজ। এদের নেতৃত্বেই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জসহ ডিএমপির অনেক থানা এলাকার বাসায় বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে মেয়েদের পাচার করা হয়।
তাদের টিমের আরো অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় শায়লা, অন্তরা, সাথী মুক্তা, ডিএমপির হাজারীবাগ থানা এলাকায় রয়েছে দোলন, পূর্ণিমা। মুগদা থানা এলাকায় রয়েছেন সোনিয়া বেলালী, আঙ্গুরীসহ আরো অনেক। তারা বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও স্পা সেন্টারের নামে মেয়েদেরকে যুক্ত করে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশলে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচার করে দেয়। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলাও রয়েছে। এদের জরুরী ভিত্তিতে আইনের আওতায় আনতে হবেৃ। অন্যথায় বহু কিশোরী-মেয়েদের জীবন হবে বিপন্ন, নারী সমাজ হবে কলঙ্কিত, যুব সমাজ হবে ধ্বংস, জাতি হারাবে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ।
এ বিষয়ে আরো বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ও নাম পাওয়া গেছে যা বিস্তারিত অনুসন্ধান শেষে আগামী সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে।