নিজস্ব প্রতিনিধি : অদ্য ১২-১০-২০২৪ইং তারিখ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন (প্রস্তাবিত) এর উদ্দ্যোগে জনস্বার্থে অবিলম্বে পুরুষ নির্যাতন আইন এর দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি কাজী ইলিয়াসুর রহমান, এডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাটারফ্লাই হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ ইয়াছিন, জাকির হোসেনসহ অন্যান্যারা।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ মানষিক নির্যাতনের শিকার। সামাজিক ও লোক চক্ষুর অন্তরালে লজ্জার ভয়ে অনেক পুরুষ নির্যাতনের বিষয়ে লোক সমাজে প্রকাশ করতে চান না। আমাদের নিজেদের পরিচালিত গবেষণার ভিত্তিতে এই তথ্য পাওয়া যায়। অনেক পুরুষ লজ্জার কারনে আত্মসম্মানের ভয়ে প্রকাশ করেন না। বিবাহিত অনেক পুরুষ নির্যাতনের শিকার হওয়া বিষয়ে এক মত মানবাধিকার কর্মীরাও, মানবাধিকার কর্মীদের কাছে জানা যায়, একাধিক পুরুষ নির্যাতনের খবর আসে তাদের কাছে। তবে তারা নির্যাতিত পুরুষের পক্ষে আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দাবি জানান মাত্র।
বিশেষ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিছু বে সরকারি সংস্থা আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালন করছে। ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ইং সালে বাংলাদেশ মেনস্ রাইটস ফাউন্ডেশন পুরুষ দিবস পালন করছে।
বাংলাদেশে একের পর এক পুরুষ নির্যাতন বেড়েই চলেছে। সৌদি আরব প্রবাসী মনির শেখ বাটারফ্লাই হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন (বি এইচ আর এফ) একটি স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সদস্য ও পরিচালক (তথ্য অনুসন্ধান সেল) মোঃ খলিলুর রহমানকে জানান তিনি অনেক বছর যাবত সৌদি আরব প্রবাসী। প্রবাস থেকে বিবাহ করার জন্য বাংলাদেশে আসে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানার গ্রামের বাড়ির পাশে কেয়া মনির খালু পরিচয় করিয়ে দেন কেয়া মনির সাথে। পরিচয়ের পরে মনির শেখ সৌদি আরব প্রবাসে গিয়ে মোবাইল ফোনে বিবাহ করেন কেয়া মনিকে।
বিবাহের কিছু দিন পর মনির শেখ চলে আসে বাংলাদেশের গ্রামের বাড়িতে গরীব শসুর শাসুরিকে ঘড় তোলা বিদুৎ লাইন টানতে বেশ কিছু টাকা দেন এবং স্ত্রীকে বেশ কিছু স্বর্ন গয়না দেন।কিছু দিন পরে কেয়া মনি বিবাহের ঘটনাস্থাল গোপালগঞ্জ সেখানে মামলা না করে পিরোজপুর কোর্টে মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করেন। এভাবে প্রতারণা নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী মনির শেখ। এখন প্রবাস থেকে মিথ্যা মামলার জন্য বাংলাদেশে আসতে পরছেনা মনির শেখ।তার বোনজামাই রুহুল আমিনকে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহো দায়ের নিকট সহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা বরাবরে অবেদন করেন।
প্রবাসিরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলা কষ্টের উপার্জিত টাকা কামাচ্ছে মা বাবা ভাই বোন স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে থাকার আসায়। আর কিছু কিছু প্রবাসীর স্ত্রী অন্য পুরুষ নিয়ে রং তামাশা করছে। গ্রীকে কিছু বলতে গেলে মিথ্যা নির্যাতন ও ধর্ষন অথবা যৌতুক মামলা দিচ্ছে।
পুরুষ মুখ বুঝে সয্য করে যাচ্ছে কারণ তারা কোন আইনী সহায়তা পাচ্ছে না তাদের জন্য নাই কোন আইনী সুরক্ষা।পুরুষের শুধু বালিশ বিজিয়ে কন্না করা ছাড়া আর কিছুই করার নাই।
তবে এদের ছাড়াও আর ও অসংখ্য ভুক্তভোগী আছে। কিছু কিছু নারীরা অর্থের লোভে মোটা অংকের দেন মোহরে একের পর
এক বিবাহ করছেন এবং মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে আদালতে মামলা দিয়ে দেনমোহরের টাকা ও খোর পোষের টাকার বিবাহ বানিজ্য করে নিচ্ছে।পুরুষ নিরপরাধ হয়েও অপরাধি সেজে বসে আছে।বুক ফাটা কান্না আর অর্থ শম্বাল হাড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে বসে থাকে।
নারী পুরুষ সমান অধিকার থাকলেও পুরুষ নির্যাতনের শিকার:
আমারা নারীদের কোন অপমানিত করছি না কারন নারী আমার মা, বোন, ফুফু, ভাতিজি, খালা, ভাগ্নি ইত্যাদি সম্পর্কে সম্পর্কিত।কিছু কিছু পতিতা ও অসতি নারীর কারনে পুরুষ নির্যাতনের শিকার। নারী পুরুষ সমান অধিকার থাকলেও পুরুষের জন্য নাই কোন আইন।তাই দেশে পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আইন প্রয়োগ করা দরকার।
পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আইন না থাকার কারনে অনেক পুরুষ নির্যাতন সয্য করতে না পেরে স্ত্রীকে হত্যাও করছে। যা প্রতিনিয়ত অনলাইন ফেইসবুক খুললে দেখা যায়। পুরুষ নির্যাতন আইন প্রয়োগ নাই বলে অনেক পুরুষ সোসাইট বা আত্মহত্যার সামিল হচ্ছে। তাই দেশে প্রচালিত আইনে নারী ও শিশু নির্যাতনের পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতন আইন হওয়া জরুরী প্রয়োজন। উক্ত বিষয়ে গত ১৭/০৯/২০১৪ ইং তারিখ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সরকারী ভাবে পুরুষ নির্যাতন আইন চাই- মর্মে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।