মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
এ ঋতুতে দিনের সংক্ষিপ্ততা এবং রাতের দীর্ঘতা ইবাদতের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগায়। আসুন, শীতকালকে ইবাদতের মৌসুম হিসেবে গ্রহণ করার গুরুত্ব এবং এতে নিহিত সুযোগগুলো সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করি।
শীতের রাতগুলো বড় হওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় নামাজে কাটানো যায়, আর দিনগুলো ছোট হওয়ায় বেশি বেশি নফল রোজা রাখা যায়। (সুনানে বায়হাকি)
আল্লাহ দিন আর রাতের আবর্তন ঘটান, নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষা রয়েছে। (সুরা নুর, আয়াত: ৪৪)
হে প্রিয় শীতকাল! তোমাকে স্বাগতম, কেননা তা বরকত বয়ে আনে। রাতগুলো দীর্ঘ হওয়ায় কিয়ামুল লাইলের জন্য সহায়ক আর দিনগুলো ছোট হওয়ায় রোজা রাখা সহজ। (আল-মাকাসিদুল হাসানা, হাদিস: ২৫০)
তারা রাতের সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করতো, রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতো। (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ১৭-১৮)
ধর্ম ডেস্ক
পবিত্র কোরআনে সুরা জুমা নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা রয়েছে। তাফসিরবিদরা বলেন, সুরা জুমার আগের সুরার নাম হলো সুরা ‘সফ’। সফ অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধভাবে আদায় করা হয়। এতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, এতে এই ইঙ্গিত রয়েছে।
প্রত্যেক সাবালক জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমান পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ পড়া ফরজ। এ নামাজ জামাতে আদায় করতে হয়। এ কারণেই মহান আল্লাহ জুমার দিন দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ অর্থ: হে ঈমানদারগণ, যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝতে পারো। (সুরা জুমা ৯)
যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো, সেখানে দুজন মুসল্লির মধ্যে ফাঁক করে সামনে এগিয়ে যায় না, নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ পড়ল, অতঃপর ইমাম কথা শুরু করলে চুপ থাকল; তাহলে মহান আল্লাহ তার দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ করবেন। (বুখারি: ৮৮৩)
জুম্মার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে , কোনো মুসলিম যদি সেই সময়টা পায়, আর তখন যদি সে নামাজে থাকে, তাহলে তার যেকোনো কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন। (বুখারি: ৬৪০০)
মুফতি জাকারিয়া হারুন
ধর্ম ডেস্ক
হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বর্ণনা করেন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে কালেমায়ে শাহাদাত পড়বে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে; ওই ব্যক্তি যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে প্রবেশ করবে। (মুসলিম, মিশকাত)
الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ صَلاةٌ إلا أَنَّكُمْ تَتَكَلَّمُونَ فِيهِ অর্থ: বায়তুল্লাহর তওয়াফ নামাজের মতো; তবে আপনারা তওয়াফের মধ্যে কথা বলতে পারেন। (তিরমিজি: ৯৬০)
ধর্ম ডেস্ক
অনেকে জানতে চান, হোটেল, রেস্টুরেন্টে আপ্যায়নকারী ওয়েটারকে পরিবেশনায় সন্তুষ্ট হয়ে বকশিশ দেয়া কি বৈধ হবে? নাকি ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে?
أفضلُ الأعمالِ أن تُدْخِلَ على أخيكَ المؤمنِ سُروراً أو تقضيَ عنهُ دَيناً ، أو تُطْعِمَهُ خُبزاً অর্থ: সবচেয়ে উত্তম আমল হলো- তোমার কোনো ঈমানদার ভাইয়ের অন্তরে আনন্দ সঞ্চার করা বা তার ঋণ পরিশোধ করা বা তাকে একটি রুটি খাওয়ানো। (জামে)
لعَن اللهُ الرَّاشيَ والمُرتشيَ অর্থ: ঘুসদাতা ও ঘুস গ্রহীতা উভয়ের উপর আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। (ইবনে হিব্বান)